‘মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা আমি দেব’

ফাইল ছবি

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে, বাংলাদেশে দরিদ্রতা হ্রাস পেয়েছে, মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই-সেই লক্ষ্যেই তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তারা আস্থা রেখেছেন, বিশ্বাস রেখেছেন, আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন বলেই তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। তাদের আস্থা বিশ্বাসের মর্যাদা আমি দেব। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে গণভবনের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঈদের খুশি সকলের ঘরে ঘরে আসুক, সকলেই এই ঈদ উদযাপন করুক, দেশ যেন আরও উন্নত হয়, ঈদের দিন আমি সেটাই কামনা করি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বেঁচে আছেন তারাই শুধু জানেন, আমাদের মনের কষ্ট। এই দুঃখ ব্যথা বেদনা সবকিছু বুকে ধারণ করেও জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে বাংলার মানুষের ভাগ্য গড়ে দেয়ার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। কারণ সবসময় এ কথাই মনে হয় যে, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকলে আমার বাবা মায়ের আত্মা শান্তি পাবে। যে স্বপ্নটা তিনি দেখেছিলেন, ক্ষুধামুক্ত,দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়বেন, সেটুকু করে যাওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই লক্ষ্য অর্জনে চলার পথে অনেক আমাদের নেতাকর্মীরা অত্যাচারিত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে, আহত হয়েছে, অনেক পরিবার স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বেঁচে আছে, আমি তাদের কথাও স্মরণ করি।’

শত প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে আজকে সারা বিশ্বের কাছে একটা মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, বাংলাদেশের মানুষ যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, বাংলাদেশের মানুষের জীবন যেন উন্নত হয়, বাংলাদেশকে আর কেউ যেন খাটো করে দেখতে না পারে, বাংলাদেশ যেন বিশ্ব দরবারে একটা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আজকে যে মর্যাদাটুক আমরা অর্জন করেছি, সেটা ধরে রেখে আমরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত এই ঈদ যেন মানুষকে মানুষের কল্যাণে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারের জন্য আরও উৎসাহিত করে এবং দেশ যেন আরও উন্নত হয়।’

সকাল ১০টা থেকে গণভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকসহ অন্যান্যরা।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানটি রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিচারপতি ও কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশা এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। গণভবনে আমন্ত্রিত অতিথিদের নানা পদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।